Portfolio
Liberation War of Bangladesh
Reference #2
মুক্তিযোদ্ধা গায়ক গুরু আজম খান:
নাম: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান।
মায়ের নাম: মৃত জোবেদা খানম।
বাবার নাম: মৃত মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান।
বাবার পেশা: অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্ট। ব্যক্তিগতভাবে হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক ছিলেন।
জন্ম ও জন্মস্থান:
জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০
জন্মস্থান: ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টার, আজিমপুর কলোনি, ঢাকা।
ছেলেবেলা
১৯৫৫ সালে প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে বেবিতে ভর্তি হন।
১৯৫৬ সালে কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে ভর্তি হন।
১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন।
১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন।
১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
১৯৫৬তে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানান।
পারিবারিক জীবন:
বিয়ে করেছিলেন ১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার মাদারটেকে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর।
স্ত্রীর নাম: সাহেদা বেগম।
প্রথম সন্তান: ইমা খান।
নাতনি: কায়নাত ফাইরুজ বিনতে হাসান।
দ্বিতীয় সন্তান: হূদয় খান।
তৃতীয় সন্তান: অরণী খান।
বর্তমান ঠিকানা: ২ নম্বর কবি জসীমউদ্দীন রোড, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৭।
বড় ভাই: সাইদ খান।
পেশা: সরকারি চাকরিজীবী।
মেজো ভাই: আলম খান।
পেশা: গীতিকার ও সুরকার।
ছোট ভাই: লিয়াকত আলী খান। মুক্তিযোদ্ধা।
পেশা: ব্যবসায়ী।
ছোট বোন: শামীমা আক্তার খানম।
সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবন।
উপাধি:
পপসম্রাট আজম খান
কিংবদন্তি আজম খান
গুরু নামে খ্যাত।
মুক্তিযোদ্ধা আজম খান:
১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তখন তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন।১৯৭১ সালে আজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।বাবার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন আজম খান। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা চলে যান।আগরতলার পথে তার সঙ্গী হন তার দুই বন্ধু। এসময় তার লক্ষ্য ছিল সেক্টর ২ এ খালেদ মোশাররফের অধীনে যুদ্ধে যোগদান করা। আজম খান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তার গাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণ যোগাতো। তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের শিবিরে।যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনি তিনি কুমিল্লায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সমুখ সমরে অংশ নেয়া শুরু করেন।কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। এর কিছুদিন পর তিনি পুনরায় আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইনচার্জ।আর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। আজম খান মূলত যাত্রাবাড়ি-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশান গুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত "অপারেশান তিতাস" । তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান শেরাটন হোটেল) , হোটেল পূর্বানীর গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশি রা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে।এই যুদ্ধে তিনি তার বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন সেটি এখনো তার শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়।আজম খান তার সঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১ এর ডিসেম্বারের মাঝামাঝি। এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনী তে সংগঠিত যুদ্ধে পাক সেনাদের পরাজিত করেন।
গায়ক আজম খান:
আজম খানের কর্মজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ৬০ দশকের শুরুতে। ৭১ এর পর তার ব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখন্দ ( লাকী আখন্দ এবং হ্যাপী আখন্দ ) ভাতৃদ্বয় দেশব্যাপী সংগীতের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে করলেন অনুষ্ঠান। তারপর একদিন বিটিভিতে প্রচার হলো সেই অনুষ্ঠান। সেটা ৭২ সালের কথা। ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরি প্রচার হলো বিটিভিতে। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দুটো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল আজম খান ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাংলাদেশ ( রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন।তার পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীতে ওর মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজ এদের সাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেন তারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার ‘জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে!আজম খানের দাবী এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক
অন্যান্য ভূমিকায় আজম খান:
১৯৯১—২০০০ সালে তিনি প্রথম বিভাগ ক্রিকেটখেলতেন গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের হয়ে।
লেখার এই অংশটি ব্লগার সংকলক এর কাছ হতে সংগৃহীত।
***মুক্তিসংগ্রামের অকুতোভয় শিল্পী লড়াকু আজম খান**** ***আজম খান আমাদের মাঝে শারীরিকভাবে আর নেই। প্রথমে বর্ধিত জীবন নিয়ে ফিরে এসে বেশ কিছু দিন
ভালোই ছিলেন। তারপর আবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যখন মানুষকে লড়তে হয়, তখন অধিকাংশ সংবাদই শোক বহন করে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত মানুষ মাত্রই মানুষকে ছাড়তে চায় না। এমনই অবস্থায় পড়েছিলাম গণশিল্পী আজম খানকে নিয়ে। **কিন্তু আজম খানের বিষয়টা বোধ হয় একটু ভিন্ন। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হলেও চিকিৎসকরা আশাবাদী ছিলেন। চিকিৎসকদের আশাবাদ আমাদেরও যে প্রচণ্ডভাবে আশান্বিত করেছিল। আজমের সব প্রিয়জন কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করেছেন ওঁর রোগমুক্তির। এ মরণরোগ ধরে যাকে, তাকে তো শেষ করেই ছাড়ে_আগে অথবা পরে। সুতরাং আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজমের মতো এমন একজন লড়াকু মানুষ কি সহজে হার মানবেন? এমন আশান্বিত প্রশ্নও ছিল। কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ৫ জুন সকালে। শিল্পী আজম খান দরিদ্র সজ্জনদের কল্যাণে আজম খান নিজেকে নিবেদন করেছিলেন এবং নিজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীচরিত্রের আবেগে হয়ে উঠেছিলেন প্রচণ্ড বোহেমিয়ান। এই সময় থেকেই তাঁর মনে যে বিবর্তন শুরু হয়েছিল, তা থেকেই আজম জড়িত হয়ে পড়েছিলেন মেহনতি মানুষের জীবন পরিবর্তনের রাজনীতির সঙ্গে। ** পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে মেনন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। এই পথ চলতে চলতেই তিনি দীক্ষা পেয়েছিলেন দেশ-বিদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিসংগ্রাম সম্পর্কে। আর নিজে তো ছিলেন এ দেশের প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে। তাই তাঁকে পাকিস্তানি দুঃশাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনে দেখেছি সক্রিয় যোদ্ধা হিসেবে মাঠে-ময়দানে, রাজপথে, মিছিলে ও শোভাযাত্রায়। এই সময় রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনার কারণে গণসাংস্কৃতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। আর সেই কমিটমেন্ট থেকেই গণশিল্পী আজম খান মুক্তিসংগ্রামে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শত্রুর মোকাবিলায়। গণসাংস্কৃতিক আন্দোলনে কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন আজম_ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর মাধ্যমে। পল্টনের ময়দানে লাখো মানুষের সামনে জনগণের সঙ্গে সংগ্রামের গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। ***ছুটে গিয়েছিলেন টঙ্গীর মিলব্যারাক থেকে নওগাঁয় ঈদগাহ মাঠে কিংবা রাতের আঁধারে চট্টগ্রাম জাম্বুরি মাঠে_কোনো মঞ্চ ছাড়াই সংগীতানুষ্ঠান করে মাতিয়ে দিয়েছিলেন আজম, ইকবাল, খসরু, মাহবুব, ফকির আলমগীর, ওমর, সাজুরা। সে কী অভাবিতপূর্ব সাড়া মানুষের মধ্যে! এই গণসংগীত অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন মনু, মুনীরুল আলম। সেই সেদিনের গণসংগীতানুষ্ঠান আয়োজনে যেমন ছিল আন্তরিকতা, তেমনি ছিল আলোড়ন, আর সেই সঙ্গে গতর খাটিয়ে আয়োজন সেরে আবার সেই গতর খাটানো মানুষগুলোই শিল্পী হয়ে জনগণকে জাগ্রত করার গান গেয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে মনে পড়ছে, পাকিস্তান আমলে ১৯৬৮ সালে সিলেটের কুলাউড়া কৃষক সম্মেলনের অভূতপূর্ব অনুষ্ঠানের কথা। যাতে আজমও ছিলেন এক সংগঠক ও শিল্পী। ***রাজনৈতিক বিশ্বাস আর আত্মোপলব্ধি থেকেই আজম খান একদিন দেশজ রাজনীতির অংশে পরিণত হয়েছিলেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ আর নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সম্পৃক্ত হয়েও গান গেয়ে বেড়িয়েছেন। **অবশেষে একদিন যখন বাঙালির সব অর্জন ও অধিকার নস্যাৎ করে পাকিস্তানি শাসকশ্রেণী জুলুম-নির্যাতন নয়, মানুষ হত্যার নির্মম নৃশংসতায় উন্মাদ হয়ে উঠল, তখনই শিল্পী আজম খান বন্ধুদের সঙ্গে লড়াইয়ের হাতিয়ার তুলে নিলেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে আজম খান ছিলেন সশস্ত্র যোদ্ধা। কিন্তু শিল্পীসত্তা থেকে দেশমাতৃকাকে সম্মানের সঙ্গে সুরক্ষা ও মানুষের অধিকার লড়ে নেওয়ার যুদ্ধে জীবন পণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তিযো
দ্ধা এই সাংস্কৃতিক সংগঠক, শিল্পী, সংগ্রামী আজম খান লড়েছিলেন শত্রুর বিরুদ্ধে সামনাসামনি যুদ্ধে। তা সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধের দামামায় শত্রুর কামানের গর্জন কিংবা মর্টারের আঘাতে শিল্পীর দায়িত্ব ভুলে যাননি। তাই বাংকারে কিংবা মুক্তিসেনা ছাউনিতে বসেও সারাক্ষণ ভেবেছেন শত্রু নিধনের কথা। গান বেঁধেছেন, সুর দিয়েছেন, গেয়েও শুনিয়েছেন সহযোদ্ধাদের। শিল্পীযোদ্ধা আজম খান মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার আগে গেয়েছেন_'বিপ্লবের রক্তরাঙ্গা ঝাণ্ডা উড়ে আকাশে', 'জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই', 'মার্কিনি লাল ইয়াংকিরা চায় কিহে, রক্ত হে' কিংবা 'ইসবার লড়াই লড়নে ওয়ালা বাঁচকে না যানে পায়ে গা', 'মোরা স্বর্গে যাব গো, খালি পেটে পেটে মোরা স্বর্গে যাব গো', 'আজি বাংলার বুকে দারুণ হাহাকার', 'মুসলিম লীগের কাণ্ড দেইখ্যা পরান ওঠে জ্বলি রে', 'কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট', 'শিকল পরা ছল রে', 'মুক্তির মন্দির সোপানতলে', 'ডলার এল দেশে' 'হিংসায় উন্মত্ত পৃথি্ব', 'অবাক পৃথিবী, অবাক করলে তুমি', 'বিদ্রোহ আজ বিপ্লব চারিদিকে'_সেই লড়াই-সংগ্রামের অধ্যায়ে আজম খান এমন কত যে গান বন্ধুদের সঙ্গে গেয়েছেন, তার হিসাব নেই। *** এমনই সময় বঙ্গবন্ধুপুত্র
শে
খ কামাল সংস্কৃতিক্ষেত্রে আধুনিকতার অভিষেক ঘটানোর উদ্দেশ্যে 'স্পন্দন' নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন দাঁড় করালেন, যার মধ্যে ছিলেন আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ, ফকির আলমগীর প্রমুখ। ***আজম খান আগাগোড়াই শীর্ণকায় ছিলেন। অসুস্থ থাকতেন মাঝেমধ্যেই। মধ্যে তো বহু বছর সংগীত পরিবেশন থেকেও দূরে সরে গিয়েছিলেন। আর হয়তো ফিরবেন না সংগীতে_এমনই ধারণা পোষণ করতেন সবাই। কিন্তু আজমের মনের জোরে দেহের দুর্বলতাকে জয় করে সত্যিই ফিরলেন সম্রাট তাঁর সাম্রাজ্যে। জীবনটাই সংগ্রামের। তাই অর্থকষ্ট হয়তো কোনো দিনও তাঁকে ছাড়েনি। তবু সংগীতকে তিনি ছাড়তে পারেননি। **আজম বোধ হয় 'ছন্নছাড়া' জীবনের এক দুর্ধর্ষ নাবিক। জীবনটাকেই সংগ্রামের 'কুরুক্ষেত্র' ভেবে কাটিয়ে দিয়েছেন। অনেকেই আমরা ভাবছিলাম, হয়তো বিয়েই করবেন না। কিন্তু দেখলাম, সামাজিকতার প্রচলিত বাঁধন ছিঁড়ে একদিন আজম খান বিয়েও করলেন, তাঁর ইচ্ছামাফিক। এ জন্যও তাঁকে লড়তে হয়েছে সমাজে ও সংসারে। কোনো দিনও নিরুপদ্রব থাকতে পারেননি আজম। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাঁর সতীর্থ ও ভক্তরা ভিড় করেছিলেন হাসপাতালে। গত সপ্তাহে আজম জ্ঞান ফিরে পেয়ে ইশারায় কিছু বোঝাতে চেয়েছিলেন। ***প্রথমবার যখন আজম খান অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন সরকারের তরফে সহযোগিতা মিলেছিল। এ প্রাপ্তি আজম খানের জন্য ছিল খুব স্বাভাবিক। এমন একজন দেশপ্রেমিক শিল্পী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রবল গণশিল্পী আজম খান শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই বটে, কিন্তু তিনি কখনো অতীত হবেন না। আজম খানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ রাখতে হবে তাঁরই জন্য। লড়াকু সৈনিক, গণশিল্পী, দেশপ্রেমিক আজম খান দীর্ঘ সময় যুদ্ধ করে গেলেন মরণব্যাধির সঙ্গে। গভীর শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করি।
বীর মুক্তিসেনা মঞ্চ কাঁপানো ৬০ এবং ৭০ দশকের বাংলা পপ সঙ্গীতের গুরু আযম খান আর নেই, আর গাই বে না গান, আর ধরবে না স্টেনগান পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। আমরা তাকে হারিয়েছি সার চিরদিনের তরে। আমরা প্রাণ ভরে দোয়া করি আল্লাহ্ যেনো তাঁকে বেহেশত নসীব করেন। আমরা তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সম্বেদনা জানাই। তাদের যেন আল্লাহ্ এত বড় হৃদয় বিদারক বিয়োগ যন্ত্রণা সইবার ক্ষমতা দান করেন। মুক্তি, মুক্তিযোদ্ধা, কন্ঠশিল্পী।
মুক্তিযোদ্ধা ও পপ সম্রাট আজম খান আর নেই। আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি মুখ গহব্বরের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে তার মুখ গহব্বরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে ১৪ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ২২ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল।পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান এ মাসের ১ তারিখে তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ওই দিন রাতেই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকলেও তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। আজ সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হে প্রভু গুরুর "দায়ভার" থেকে জাতির অকৃতজ্ঞতা ক্ষমা কর:আমরা এমন কেন মৃত্যুর আগে কারও অবদানের কথা মনে করি না! পপ-সম্রাট আজম খান তার সঙ্গীতকে বাণিজ্যিক পণ্যে রূপান্তর করেন নি। তাই তার সৃষ্টির স্বীকৃতি এসেছে কিন্তু আর্থিক দৈন্য থেকে মুক্ত ছিলেন না। তার শেষ এ্যালবাম "দায়ভার"। কাজ শেষ হবার পর বার বার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও প্রযোজক তা রিলিজ করেন নি। মনি জামিন সহ অনেকের কাছে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।এখন সে এ্যালবাম অবশ্যই বের হবে কারন এখন বানিজ্য হবে।
প্রযোজক কে আমি এখনও জানিনা। অবশ্যই জানবো।
যারা গুরুকে ভালবাসেন তাদের কাছে অনুরোধ সেই প্রযোজককে জনপ্রতি ১১ বার করে জুতা-পেটা করবেন।
হয়তো দায়ভার কিছুটা শোধ হবে।
আমাদের কথাঃShomoy'71 সময়'৭১
১। ৭১এর ভয়াবহতা স্বচক্ষে অবলোকন করেনি;
২। যারা ৭১ এ পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন ধর্ষণ জ্বালাও পোড়াও সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনা পোষণ করে না;
৩। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে অস্বীকার করে ভারতীয়তাবাদ বলে আজকের বাড়ন্ত শিশুমনকে আওয়ামী বিরোধী করে তোলার হীন চেষ্টায় লিপ্ত; যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের নায়ক/মহানায়কের আত্বত্যাগকে অপমান অপদস্থ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মহিমাকে কলুষিত করতে এতটুকুন দ্বীধাবোধ করেনা;
৪। যারা ধর্মের নামে ইসলামের ঢাক ঢোল পিটিয়ে পাকি ধারায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে বাঙ্গালী জাতিকে হেয়প্রতিপন্ন করার কাজে ব্যতিবস্ত;
৫। যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো একটি মৌলবাদী জঙ্গি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান আই এস আই’র অর্থে গোটা দেশে সিরিজ বোমায় ঝলসে দেয় অবোধ শিশুর সোনালী মূখ;
৬। যারা দরিদ্র্য দীন হীন রোহিঙ্গা মুসলমানদের দাবী আদায় ও পুনর্বাসনের নামে কিশোর যুবকের হাতে তুলে দেয় পেট্রোল বোমা;
৭। যারা জাতি ধর্ম কুল মান বংশের মাপকাঠিতে মানবসভ্যতাকে সাম্প্রদায়িক দাংগা হাঙ্গামায় মদ্য যুগীয় বর্বরতর আদিম সভ্যতায় রূপান্তরিত করতে চায়;
“সময়৭১” সে সকল পশ্চিমা হায়েনা দজ্জাল ঘাতক দালাল নরপশূ-নরপিশাচদের মুখোশ খুলে দেবার কাজে সদা সর্বদা সচেতনতার সাথে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাবে। “সময়৭১” এর সকল ভাই বন্ধু সদস্য শুভানুধ্যায়ী ও শূভাকাংখিরা প্রাথমিকভাবে সারা দেশব্যাপী ও বিশ্বব্যাপী সাধারণ সদস্য সংগ্রহের কাজ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেবার পর থেকেই শুরু হবে শাখা কমিটি গঠন ও অনুমোদন।
“সময়’৭১” একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত নিজস্ব প্রক্রিয়ায় কিছু “প্রকল্প” চালু করবে; সে সব প্রজকল্পের মাধ্যমে বেকার শিক্ষিত ছেলে/মেয়েদের কর্ম সংস্থানের একটি সুনিপুণ পরিকল্পণা প্রণয়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারী বেসরকারি সাহায্য সংস্থাসমূহের পরামর্শ ও লজিষ্টিক সাপোর্ট গ্রহণ করা হবে। “সময়’৭১” বাংলার ইতিহাস রচয়িতা ইতিহাসবিদ, ইতিহাসজ্ঞ ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান/সংস্থা/সঙ্গঠনের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ন্যায় কাজ করবে।
“সময়’৭১” মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর নায়ক/মহা-নায়ক/সংগঠক/কলা কুশলী/মুক্তিযোদ্ধা/সহ-মুক্তিযোদ্ধা/বিড়ংগনা/ ক্ষতিগ্রস্থ মা-বোনদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পাশাপাশি তা’ গনমাধ্যমে পর্যায়ক্রমে প্রচার ও প্রকাশনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
একজন স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে বা সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দরিদ্র্য দেশের বেকারত্বের অভিশাপে ক্ষত বিক্ষত শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমার নিজেকে তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত বা অবহেলিত বলবো না। আমরা দামী পোশাক পরিধান করি, পেট ভরে ভাত মাছ মাংস খাই, সিনেমা দেখি, টিভিতে রঙ্গিন নাটক দেখি, গাড়ী বাড়ী বর্ণাঢ্য জীবন যাপন করি আর মুক্তিযোদ্ধারা? কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অতীতে সকল দলই রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান ও মহিমাকে জাতীয় সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখীদের করতালিতে ধন্য হয়েছেন। সভা সমিতি মঞ্চে নিষ্ফল ভ্রান্ত ও মেকির জুলুস ও চপকতায় আব্রিত কৃতিত্বের দাবীদার হয়েছেন। পঙ্গু লাচার মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাড়িয়ে যুগল ছবি দুলে মিডিয়ার হাতে তুলে দিয়ে দেশ বরেণ্য নেতা নেত্রী হয়েছেন অনেকেই। কারণ বাঙ্গালী জাতির ৫২ ভাষা আন্দোলনের পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া অন্য কোন পরিচয় ছিল না।
এই মহান ত্যাগী আত্বহননকারী মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রব্যসামগ্রীর বিজ্ঞাপনের মত করে সকল রাজনৈতিক দলগুলোই নিজেদের প্রচার, প্রসার ও ব্যপ্তির অপচেষ্টা করেছেন। একজন বীর মুক্তিসেনা ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা চৈত্র- বৈশাখীর ঝড় বৃষ্টি শিলা মাথায় নিয়ে রিকসায় আর একজন স্বাধীন দেশের নাগরিককে নিজের বাড়ীতে পোঁছে দেয়, একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বাবার অকাল মৃত্যুতে ম্যাকে নিয়ে ঢাকায় ছুটে যায় কাজের সন্ধানে, সেখানে মা মেয়ে দুজনেই স্বাধীনতার ফসল ঘরে তুলতে গিয়ে মধ্য রাতে ধর্ষিতা হয়ে আবার ফিরে আসে গঞ্জের সে ভাঙ্গা কুঠিরে, একজন মুক্তিযোদ্ধা কমলা পুর রেলস্টেশনের খোলা ফুটপাতে নীল আকাশের নীচে অতি পুরাতন জীর্ণ দুর্গন্ধযুক্ত একটি ছেড়া কম্বল জড়িয়ে অনাহারে ধুকে ধুকে মরে; একজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্দাপরাধির বিচাররের দাবী তোলাতে জামাত শিবিরের হায়েনা নরপশুর হাতে প্রকাশ্যে পাদুকার পিটুনি খায়। হায়রে স্বাধীনতা তোমার ফসল কোথায়?অনেক কথাই থেকে যায় হৃদয়ের গভীরে, বলা যায় না। যেমন খোলা ময়দানে লোকারণ্যে গগনবিদারী চিৎকার করে বলা যায় না "আপন বোনের নৈতিক চরিত্রহীনতার কথা" ।কাকে বলবো? ঠিক স্বাধীনতাত্তোর যুদ্ধবিধস্থ ধ্বংসস্তূপসম এ ভূখণ্ডে অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের পাশাপাশি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের কাজটি জাতিরজনক সরাসরি নিজে তদারকি করেছিলেন। যে ব্যক্তি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের চেয়ে দেশ ও দেশের গন মানুষের ক্ষুদ্রতম স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, "#সে মহান ব্যক্তির বিশাল হৃদয়ের বুকের পাঁজরটাকে একদল উচ্চাভিলাষী সেনা সদস্য মূর্খ পাষণ্ডের মত নির্মম নিষ্ঠুরভাবে রাতের আধারে অতর্কিতে বুলেটের আঘাতে ঝাঁজরা করে দিয়েছে#"।১৯৭২ থেকে এ পর্যন্ত সরকার ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক সকল দলগুলোর আদর্শ ও উদ্দেশ্য- আদি অন্ত সবকিছুই ভালো ভাবে আবলোকন করেছি। সে থাক, এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন ত্যাগ ও কর্মের ফল স্বাধীনতা ও সার্বভৌম কে টিকিয়ে রাখা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। এ কাজটি সরকারী দল তথা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই শুরু করেছিলেন। কিন্ত সঠিক কাজে যোগ্য ব্যক্তির পদায়ন, যোগ্য কাজে যোগ্যতাঁর ভিত্তিতে ব্যক্তি নির্ধারণ হয়েছে বলে আমি মনে করি না; যে কারণে ইমরান এইচ সরকার " এর মত লোকেরা অযোগ্য সত্বেও আওয়ামী মিডিয়া সেন্টারের প্রধান হিসেবে গোটা জাতিকে ছোবল মারার সুযোগ পায়। তার মানে এই নয় যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা, বিড়ঙ্গনা, সহায়ক অন্যান্য মুক্তিকামী জনতার অপার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণের ঘটনাপঞ্জী, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর জীবন প্রবাহ, ত্যাগ সহিষ্ণুতা ইত্যাদি তুলে ধরার দায়িত্ব একাই শেখ হাসিনা বা শেখ রেহানার ? অথবা শুধুই কি মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে সকল দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগের একার ?
তাহলে এ কাজটি কার ? কে করবে? ব্যঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ৭১ নিয়ে সাইনবোর্ড সর্বস্ব সংগঠন। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন আন্তরিকতার সাথেই, কেউ ব্যবসার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের নামের কার্ডে ছাপিয়ে সচিবালয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এম পি মন্ত্রীগণও তাদের কথা বার্তায় বড়ই সন্তুষ্ট ও আশাবাদী।
যা' সত্য তাই তুলে ধরা সময়৭১ এর মূল উদ্দেশ্য। হয়তো আমরা জীবদ্দ্বশায় সফল হবো না। কিনত নতুন প্রজন্মের কেউ না কেউ আমার এ সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনই এক প্রত্যাশায় শুরু করেছি #সময়৭১। এখানে অসৎ উদ্দেশে অনেকেই এসেছেন, সেও আমি জানি, ফায়দা লুটতেও অনেকে লোক দেখানো জয় বাংলা শ্লোগান দেয়, বুকের গভীর থেকে শ্রদ্ধা ভরে #জয়বঙ্গবন্ধু ওদের আসেনা, আসতে পারে না। তাও আমরা বুঝি, জানি, চিনি। #ধান্দা হা ভাই #ধান্দা । তারপরেও আমি আশাবাদী।
সময়৭১ সব কিছুর উরদ্ধে, সকলের চেয়ে সেরা, দুর্গন্ধহীন ঝামেলামুক্ত, স্বার্থহীনভাবে সত্যাচারে দুর্বিনীত। সততা ও নিষ্ঠায় সর্বোৎকৃষ্ট হবার দুরন্ত বাসনা, দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে অবিচলিত।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
মোকতেল হোসেন মুক্তি সভাপতি
শাহিন রাকিব- সাধারণ সম্পাদক